ঘন কুয়াশায় শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌ-রুটে ১০ ঘন্টা ফেরী চলাচল বন্ধ

ঘন কুয়াশায় শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌ-রুটে ১০ ঘন্টা ফেরী চলাচল বন্ধ

 

Brand Bazaar

মোঃ মানিক মিয়া, স্টাফ রিপোর্টার (মুন্সীগঞ্জ)॥

ঘন কুয়াশার কারণে শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌরুটে ১০ ঘন্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার রাত ১২ টা থেকে শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত এ নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা পরেন চরম দুর্ভোগে।

ঘন কুয়াশায় শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌ-রুটে ১০ ঘন্টা ফেরী চলাচল বন্ধ

ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় আটকা পড়ে সহ¯্রাধিক বিভিন্ন প্রকার যানবাহন। বিআইডব্লিউটিসির এজিএম শাহ খালেদ নেওয়াজ জানায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২ টায় থেকে শুক্রবার সকাল ১০ টা পযর্ন্ত এ নৌ-রুটের পদ্মার অববাহিকায় ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে নৌরুট হয়ে যায় দৃষ্টিহীন। ফলে বাধ্য হয়ে ফেরী চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এসময়ে মাঝ নদীতে যানবাহনসহ আটকা পড়ে ড্রাম ফেরী রানীগঞ্জ, রানীক্ষেত, যমুনা, কেটাইপ ফেরী কুমিল্লা ও কিশোরীসহ ৫টি ফেরি। আলোর অপেক্ষায় দীর্ঘ ১০ ঘন্টা এ সকল ফেরি মাঝ নদীতে নোঙ্গরে ছিল। শুক্রবার সকাল ১০ টায় কুয়াশা কেটে গেলে ফেরী চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়। বর্তমানে ৪ টি রোরো ফেরী শাহ মকদুম, বীর শ্রেষ্ট জাহাঙ্গীর, শাহ পরান, এনায়েতপুরীসহ মোট ১৬ টি ফেরী চলাচল করছে এ নৌরুটে। এসব ফেরী রিবামহীন ভাবে চলাচল করলেও উভয় পারে পারাপারে অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় ১ হাজার বিভিন্ন প্রকার যানবাহন। এদের মধ্যে রয়েছে বাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রো, এ্যাম্বুলেন্স,পন্যবাহী ট্রাক ও কভার্টভ্যানসহ অনান্য যানবাহন। এদিকে কুয়াশার কারণে লঞ্চ ও সি বোট বন্ধ থাকায় যাত্রীরা পরেন চরম ভোগান্তিতে যাত্রীদের জন্য নির্মিত পেসেনযার সেটের ভিতরে যাত্রীরা কোন ক্রমেই বসতে পারেনি অবৈধ দোকানপাটের জন্য। এতে দীর্ঘ সময় ঘাটে দাড়িয়ে থেকে যাত্রীরা আরো দুর্ভোগে পরেন। এ ব্যাপারে মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাড়িঁর টু আইসি এসআই মো.জাকির হোসেন জানান, প্রায় ১০ ঘন্টা ফেরী চলাচল বন্ধ থাকার পর শুক্রবার সকাল ১০ টা থেকে ফেরী চলাচল আবার শুরু হয়েছে । এবং আটকে পরা যাত্রীদের নিরাপত্ত্বার জন্য আমাদের নৌ-পুলিশের সদস্যরা বিরাহীন ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment